কিডনি রোগ প্রতিরোধে চাই সুস্থ জীবনধারা। সুষম খাদ্যাভ্যাস জরুরি। কোনো পুষ্টি উপাদান বেশিও গ্রহণ করবেন না, আবার কমও নয়। একজন সুস্থ, পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তির দৈনিক আমিষজাতীয় খাবার গ্রহণের পরিমাণ হওয়া উচিত শরীরের প্রতি কেজি ওজনের জন্য প্রতিদিন ১ গ্রাম করে আমিষ (গর্ভাবস্থায় একটু বেশি)।
নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম আবশ্যক। উচ্চ রক্তচাপ কিংবা ডায়াবেটিস থাকলে অবশ্যই তা নিয়ন্ত্রণে রাখুন। আর একটা বিষয়, ৪০ বছর বয়সের পর কিডনির কর্মক্ষমতা স্বাভাবিকভাবেই একটু একটু করে কমতে থাকে। ব্যথার ওষুধ যতটা সম্ভব কম সেবন করবেন।
হঠাৎ বমি বা পাতলা পায়খানা হলে দ্রুত স্যালাইন খেয়ে পানিশূন্যতা পূরণ করবেন। না হলে কিডনি বিকল হওয়ার ঝুঁকি থাকে। স্যালাইন খেতে না পারলে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে শিরাপথে স্যালাইন নেওয়ারও প্রয়োজন হতে পারে।
চল্লিশের পর কোনো শারীরিক সমস্যা না থাকলেও প্রতিবছর কিডনির অবস্থা বোঝার জন্য প্রাথমিক পরীক্ষা (সেরাম ক্রিয়েটিনিন, প্রস্রাবের রুটিন মাইক্রোস্কপিক পরীক্ষা এবং রক্তের সুগার) করিয়ে নিন। নিয়মিত রক্তচাপ মাপবেন। মদ ও ধূমপান সবার জন্যই বর্জনীয়।
অনুলিখন: ডা. রাফিয়া আলম
from WordPress https://ift.tt/3l65mZM
via IFTTT