জানতে চাইলে তদন্ত কমিটির প্রধান ও খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি প্রিজন মো. ছগির মিয়া বুধবার প্রথম আলোকে বলেন, কারারক্ষী তালা খুলে না দিলে বন্দী পালানোর সুযোগ পেতেন না। তা ছাড়া নির্মাণাধীন ওই ভবনে ওঠার সিঁড়ির মুখে পাহারা থাকলেও পালাতে পারতেন না। তদন্ত শেষে ব্যবস্থাপনায় ত্রুটি, ঢিলেঢালা নিরাপত্তাকে জোরদার করার সুপারিশ করা হবে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে।
সাধারণত কারাগারে দুর্ধর্ষ বন্দীদের কর্ণফুলী ভবনের পঞ্চম তলার ১৫ ও ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে রাখা হয়। অন্য বন্দীরা (জঙ্গি ছাড়া) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ওয়ার্ড থেকে বের হওয়ার সুযোগ পেলেও দুটি ওয়ার্ডের বন্দীরা সে সুযোগ পান না। তাঁদের কড়া নজরদারিতে রাখা হয়। দিনরাত তালাবদ্ধ থাকে দুটি ওয়ার্ড।
কারা সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে সাত হাজার বন্দী রয়েছেন। ধারণক্ষমতা রয়েছে ১ হাজার ৮৫৩ বন্দীর। এর মধ্যে জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) জঙ্গি ও দুর্ধর্ষ ২০০ বন্দী রয়েছেন।
সৎ, যোগ্য ও দায়িত্বপরায়ণ কর্মকর্তাদের বেশির ভাগ ক্ষেত্রে নিয়োগে প্রাধান্য না দেওয়ার কারণে কারাগারে অনিয়ম ঘটছে বলে মনে করেন কারা অধিদপ্তরের সাবেক উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) শামসুল হায়দার সিদ্দিকী। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, যাঁরা টাকা দিয়ে আসেন, তাঁরা এগুলো তোলায় ব্যস্ত থাকে। কার, কী দায়িত্ব কতটুকু পালন করেছেন, তদারকির সময় থাকে না। এতে ব্যবস্থাপনায় ত্রুটি, দায়িত্ব পালনে গাফিলতি থাকে। চট্টগ্রামের মতো বড় কারাগারে খুন, বন্দী পালানোর ঘটনা বিস্ময়কর। এসব ঘটনার জন্য যাঁরা দায়ী, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে তাঁদের চিহ্নিত করে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
from WordPress https://ift.tt/3t8VHEI
via IFTTT