এই বিশেষ কায়দায় টিকা দিতে দক্ষিণ কোরিয়ার কয়েকটি হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে। কিম ইউন-সুক জানান, তাঁদের হাসপাতালে আপাতত প্রতি পালায় একজন করে প্রশিক্ষিত নার্স দায়িত্ব পালন করছেন। এ নার্সের কাজ হলো টিকার শিশিতে থাকা অবশিষ্ট তরলটুকু বিশেষ সিরিঞ্জ দিয়ে বের করে আনা।
তবে এ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে টিকা উৎপাদকেরা। তারা মূলত টিকার ডোজের ভিত্তিতেই মূল্য নির্ধারণ করে থাকে। অর্থাৎ ফাইজার-বায়োএনটেক তাদের টিকার শিশিতে থাকা ছয় ডোজের ভিত্তিতেই মূল্য নির্ধারণ করেছে। এদিকে কিছু বিশেষজ্ঞ এভাবে টিকা প্রয়োগের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন।
অবশ্য সম্মুখসারির নার্সদের প্রতি এক পরামর্শে দক্ষিণ কোরিয়ার রোগনিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংস্থা (কেডিসিএ) বলেছে, শিশি থেকে টিকার সবটুকু তরল বের করে নেওয়া হবে কি না, তা টিকা সরবরাহকারীর সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে। এর জন্য নতুন কোনো নীতিমালা দেওয়া হবে না। কারণ, এতে স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর চাপ বেড়ে যেতে পারে।
কেডিসিএ জানায়, মঙ্গলবার মধ্যরাত পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়ায় ৪ লাখ ৪৬ হাজার ৯৪১ জনকে করোনার টিকার প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া হয়। এ পর্যন্ত দেশটিতে ৯৩ হাজার ৭৩৩ জন করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন। এর মধ্যে মারা গেছেন ১ হাজার ৬৪৮ জন।
from WordPress https://ift.tt/3vaagJP
via IFTTT